আজ বুধবার, ১২ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আড়াইহাজারে ছাত্রকে পিটিয়ে জখম

আড়াইহাজারে ছাত্রকে

আড়াইহাজারে ছাত্রকেরফিকুল ইসলাম রানা,আড়াইহাজার  সংবাদদাতা:

নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজারে স্কুলের মধ্যাহ্ন বিরতির সময় বিনানুমতিতে বাড়ি চলে যাওয়ায় ফয়সাল নামে সপ্তম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছেন একই স্কুলের খন্ডকালীন ইংরেজি শিক্ষক মুসা মিয়া।

গুরুতর আহত অবস্থায় ওই স্কুল শিক্ষার্থীকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় প্রভাবশালীরা মিমাংসার কথা বলে আহত শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ করতে দেয়নি এবং তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেও নিতে দেয়নি। শিক্ষার্থী ফয়সাল উচিৎপুরা ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।

আহত শিক্ষার্থীর মাতা নার্গিস আক্তার জানান, তার ছেলে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র ফয়সাল সোমবার বাড়িতে কাজ থাকায় মধ্যাহ্ন বিরতির সময় বাড়িতে গিয়ে আর স্কুলে ফিরেনি। পরদিন মঙ্গলবার স্কুলে আসলে ইংরেজি শিক্ষক মুসা মিয়া বিরতির সময় বিনানুমতিতে স্কুল ফাঁকি দেয়ার কারণ জানতে চান। ফয়সাল বাড়িতে জরুরী কাজ থাকার কথা বললে তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে বেত দিয়ে বেধরক প্রহার করেন। এক পর্যায়ে প্রহারের চোটে শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হয় এবং সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে বাড়িতে খবর দিয়ে আহত শিক্ষার্থীকে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেন। বাড়িতে নিয়ে ফয়সালকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির কাছে বিচার দায়ের করেন । তারা স্থানীয়ভাবে মিমাংসার আশ্বাস দিয়ে মামলা করতে বারণ করেন। তবে খন্ডকালীন শিক্ষক মোঃ মুসা মিয়া শিক্ষার্থীকে বেধরক পেটানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

এ ব্যপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহেদুল হক জানান, শিক্ষার্থী ফয়সালে পেটানোর ঘটনাটি অমানবিক। বিষয়টি দু’তিনদের মধ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের সাথে বসে স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার কথা রয়েছে।
স্কুলের পরিচালনা কমিটির দাতা সদস্য বেনজীর আহম্মেদ বেনু জানান, শিক্ষার্থীকে পেটানোর বিষয়টি বড় ধরনের ঘটনা নয়। শিক্ষক অসাবধানতাবসত শিক্ষার্থীকে সামান্য আঘাত করেছে।
আড়াইহাজার থানার ওসি এম এ হক জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ